ওয়েবডেস্ক- করম পুজো (Karam Puja) নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করে একের পরে মন্তব্য করে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari) । শুভেন্দুর বক্তব্য, অন্য রাজ্যে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আলোচনা করে অধিবেশনের দিন ঠিক করা হয়। এখানে সেটা করা হয় না। এখানে আগে থেকেই সব ঠিক থাকে। এই সমস্ত প্রশ্ন তিনি রাখেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Assembly Speaker Biman Banerjee) সামনে।
শুভেন্দু বলেন, ৪ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী গান করবেন বলে করম পুজোর দ্বিতীয় দিনে অধ্যক্ষ বিধানসভার অধিবেশন ডেকে বসে আছেন। চার তারিখের অধিবেশনের দিনটি পরিবর্তন করে আট তারিখ করা হলে করম পুজোয় শ্রদ্ধা জানানো সঠিক হবে। এটা না করলে আদিবাসী সমাজকে অসম্মান করা হবে।
শুভেন্দু বলেন, বিরোধী দল বিজেপির যে সমস্ত বিধায়ক আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি তাদের কথা ভাবা হচ্ছে না। করমপুজো উপলক্ষে জানাই। এখানে করমপুজো একটি বিরাট অনুষ্ঠান। মূলত আদিবাসীদের অনুষ্ঠান। শাসক দল এক তরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়। বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে করে না। বিরোধী দলনেতা বলেন, ৩ তারিখ ছুটি আছে। ৪ তারিখ অধিবেশন ডেকেছেন।
আরও পড়ুন- এসএসসি ‘অযোগ্য’দের তালিকায় বিজেপির লোকও আছে: কল্যাণ
যে এলাকায় এটা বেশি করে হয় সেখানকার বিধায়কদের সাথে আমাদের সঙ্গে আছে। মনোজ ওঁরাও এর মুখ দিয়ে শুনব। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) গান করবে বলে আপনারা অধিবেশন ডেকেছেন। ৩ তারিখে ও ৪ তারিখেও থাকবেন তারা। ওই দুটো দিন যদি অধিবেশন না রাখা হয়, তাহলে বিধায়করা নিজ-নিজে এলাকায় গিয়ে আনন্দ-উৎসবে মাততে পারবেন না।
শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, আদিবাসীদের বার্তা ১৪ তলায় পৌছে দিন ৪ তারিখের বদলে ৮ তারিখে করার জন্য আবেদন করছি। তাহলে এরাও বঞ্চিত হওয়া থেকে রেহাই পাবে। শুভেন্দু আরও বলেন, আদিবাসীদের এই পুজো ৩ তারিখ ভোর ৫ টা থেকে শুরু করে ৫ তারিখ পর্যন্ত ভাসান পর্যন্ত চলে।
উল্লেখ্য, করম পুজো উপলক্ষে রাজ্য সরকার আগেই সমস্ত সরকারি অফিস-দফতরগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে। কলকাতায় এই পুজো না হলেও বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম,পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো একাধিক জেলার বিভিন্ন অংশে এই পুজো হয়ে থাকে। উত্তরবঙ্গে কয়েকটি জেলাতেও এই পুজো হয়ে থাকে। করম পুজো ঘিরে আনন্দে মাতেন আদিবাসীরা।
দেখুন আরও খবর-